আমাদের দৈনন্দিন অন্যান্য কাজের মধ্যে শরীরচর্চাও একটি বিশেষ অঙ্গ। শিশু থেকে বয়স্ক সকল বয়সের ব্যক্তিদের জন্যই শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করা খুবই ভালো তা বারংবার জানিয়েছেন বিভিন্ন চিকিৎসকেরা। তবে অবশ্যই অন্যান্য কোন কাজের মতো এই শরীরচর্চার ক্ষেত্রেও বিশেষ কিছু দিকের খেয়াল রাখতে হয়। সেই বিশেষ কিছু দিক নিয়েই আমরা আজকের প্রতিবেদনে আলোচনা করতে চলেছি পাঠক বন্ধুদের সঙ্গে। অনেকেই রয়েছেন যারা গোটা বছরজুড়েই জিম বা শরীরচর্চার সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকেন। আবার অনেকেই রয়েছেন যারা বিশেষ কোনো উৎসবের মরসুম যেমন দূর্গা পূজা অথবা কোন বিশেষ দিনের আগে শরীর চর্চায় অংশগ্রহণ করেন.. তবে জেনে রাখুন,ফিট থাকতে ব্যায়াম যেমন জরুরি, ঠিক তেমনই ভারী শরীরচর্চার পর আপনি কী করছেন, সেটাও নজরে রাখতে হবে।
শরীরচর্চা করার পরে কোন কাজগুলি অবশ্যই করবেন?
6জল খাওয়ার অভ্যাস:
শরীরকে হাইড্রেট রাখার জন্য আমাদের কিন্তু প্রতিদিন নিয়মিতভাবে জল খাওয়ার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। এমতাবস্থায় যদি আপনি শরীরচর্চার কাজে যুক্ত হয়ে থাকেন তাহলে এই জল খাওয়ার পরিমাণ আপনাকে আরো বাড়াতে হবে।শরীরচর্চা করার পর শরীর থেকে অনেকটা জল ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যায়, এ ক্ষেত্রে শরীরে জলের ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই শরীরচর্চা করার কিছু ক্ষণ পর ভাল করে জল খাওয়া জরুরি। এবার থেকে জিম করার পরে কিন্তু এই ব্যাপারটি একেবারেই মিস করবেন না।
5স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাবারে রাখুন:
শরীর চর্চা করার পাশাপাশি কিন্তু আপনাকে এই বিষয়গুলোর উপরেও নজর দিতে হবে।ব্যায়ামের ৪৫ মিনিট পর স্বাস্থ্যকর কিছু স্ন্যাকস খেতে পরেন। এ ক্ষেত্রে মূলত প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটে ভরপুর খাবার খাওয়াই ভাল। কারণ এই ধরনের খাবার আপনাদের পেশী মজবুত করতে এবং শরীরের শক্তির যোগান দিতে দারুণভাবে সাহায্য করবে। ফলস্বরূপ আপনার শরীর সারাটা দিন ধরেই দারুণভাবে সক্রিয় অবস্থায় থাকবে।
আরও পড়ুন- Weight Loss Tips : জেনে নিন সহজে রোগা হওয়ার কিছু উপায়, সর্বদাই থাকবে ওজন নিয়ন্ত্রণে!
4ছুটির দিনেও হালকা ব্যায়াম:
সপ্তাহে সাত দিনই ভারী শরীরচর্চা না করে ফিটনেসবিদেরা সপ্তাহে এক থেক দু’দিন বিশ্রামম নেওয়ার পরামর্শ দেন। তবে বিশ্রামের দিনগুলিতে যোগাসন, সাঁতার, হাঁটাহাঁটির মতো হালকা ব্যায়াম করার অভ্যাস করতে হবে। তবেই আপনি মনের মতো ফলাফল পাবেন। অনেকেই আছেন যারা এই বাদ যাওয়া এক দুদিন সম্পূর্ণ শুয়ে বসে কাটিয়ে দেন। এই ভুলটা কিন্তু একেবারেই করবেন না সে ক্ষেত্রে আপনার গোটা সপ্তাহের পরিশ্রম কিন্তু নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য শরীরচর্চা করছেন তাদের এই দিকটা খেয়াল রাখা অবশ্যই জরুরি।
3শরীর শান্ত হতে সময় দিন:
একটু লক্ষ্য করলেই বুঝবেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরচর্চা করার পর হৃদ্স্পন্দন অনেক বেড়ে যায়। তাই শরীরকে স্বাভাবিক পরিস্থিতি আসার সমটুকু দিতে হবে। জিম সেরেই তড়িঘড়ি অফিসের জন্য ছুটলে হবে না। অন্তত ৫ মিনিট শবাসন করে তার পরেই জিম থেকে বেরোতে হবে। তারপর হালকা খাবার এবং জল খেয়ে নিতে পারেন প্রয়োজনমতো।
2খাদ্যাভ্যাসে নজর দিন:
অনেকেই আছেন যারা শরীর চর্চা করার পাশাপাশি কিন্তু খাবারদাবারের উপরেও দারুন নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখেন।জিম করছেন আবার ডায়েটেও কড়াকড়ি করছেন? এতে কিন্তু বিপদে পড়বেন। শরীরচর্চা করতে হলে শরীরে পুষ্টিকর খাবারের জোগান থাকা জরুরি। সে ক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্ট নির্ভর না হয়ে রোজের খাবারে কী কী রাখলে ভাল হয়, সেই বিষয়ে খেয়াল রাখুন। তবে যদি আপনার এই খাবারের বিষয়ে কোন স্পষ্ট ধারণা না থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই কিন্তু ভালো কোন পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। এই ক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী কাজ না করাই ভালো।
1চাই ভিটামিন মিনারেল:
ব্যায়ামের সময় পেশী ও টিস্যুর যে ভাঙচূড় হয় তা পূরণ করতে ভিটামিন এ, সি, ই–র সঙ্গে জিঙ্ক, সেলেনিয়াম জাতীয় মিনারেলের প্রয়োজন হয়। সব সময় খাবার থেকে তা পর্যাপ্ত পাওয়া যায় না। সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন হতে পারে। তবে ব্যাপারটা নির্ভর করবে আপনি কী ধরনের ব্যায়াম করছেন তার উপর.
উপরিউক্ত এই কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখলেই কিন্তু আপনি অল্প সময়ের মধ্যে শরীর চর্চার হাতেনাতে ফলাফল পাবেন। তাই ব্যায়াম করার পরে এই দিকগুলোর উপরে নজর রাখবেন এবং কোন ভুল করবেন না। এই ধরনের আরও আপডেট পেতে চাইলে নজর রাখতে থাকুন আমাদের অন্যান্য প্রতিবেদন গুলির উপর।