শিরোনাম দেখে ইতিমধ্যে আপনারা নিশ্চয়ই অবাক হয়ে গিয়েছেন। মহাকাশে জঞ্জাল ছড়ানোর অভিযোগেও যে জরিমানা হতে পারে তা সত্যিই অবাক করার মতো বিষয়! কিন্তু এমন ঘটনাই ঘটেছে এবং নেপথ্যে রয়েছে আমেরিকা। যদি আপনারা মহাকাশ নিয়ে আগ্রহী থাকেন তাহলে আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনটি দয়া করে মিস করবেন না।। গ্রহ এবং অসংখ্য নক্ষত্র সম্বলিত মহাকাশ কিন্তু আমাদের পৃথিবীর মতন নয়।। সেই জায়গা কিন্তু সম্পূর্ণ জঞ্জালশূন্য। কিন্তু পৃথিবী থেকে বিভিন্ন কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর দরুন এই জঞ্জাল কিন্তু মহাকাশেও ছড়িয়ে পড়ছে। ঠিক কেন এবং কিভাবে?
পৃথিবীর যে কোন দেশ থেকেই কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো হোক না কেন নিয়ম অনুযায়ী কার্যকাল শেষ হয়ে গেলে সেগুলোকে সরিয়ে ফেলতে হয় কক্ষ থেকে।কিন্তু ডিশ নামে একটি সংস্থা তাদের পাঠানো একটি কৃত্রিম উপগ্রহের কর্মকাল শেষ হওয়ার পরও সেটিকে যথাযথ নিয়ম মেনে কক্ষ থেকে বার করে দেয়নি। যার ফলস্বরূপ এটি মহাকাশের জঞ্জালে পরিণত হয়ে গিয়েছে। ৫ বছর ধরে এই জঞ্জাল অনন্ত শূন্যে ভেসে বেড়াচ্ছে। তাই শেষমেষ আর কোন উপায় না থাকায় পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল মার্কিন ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন।
জানা যায় ওই সংস্থা ২০০২ সালে শেষবারের মতন কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছিল।সেটির সময়কাল শেষ হয়েছে ৫ বছর হল। তারপরেও তাদের লাইসেন্স শর্ত অনুযায়ী নষ্ট হয়ে যাওয়া কৃত্রিম উপগ্রহটি তারা কক্ষ থেকে নিয়ম মেনে সরিয়ে দেয়নি। তাই মার্কিন ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন দেড় লক্ষ ডলারজরিমানা করেছে ওই সংস্থাকে। টাকার অংক কিন্তু নেহাতই কম নয়। ভারতীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা।এই প্রথম মহাকাশে জঞ্জাল সঠিকভাবে সাফাই না করার জন্য কোনও সংস্থাকে জরিমানা করা হল।
কাজ শেষ করা ইকোস্টার-৭ কৃত্রিম উপগ্রহটিকে দ্রুত নিয়ম মেনে কক্ষ থেকে সরিয়ে দিতেও বলা হয়েছে ডিশ নামে সংস্থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের গ্রহ পৃথিবীকে তো মানুষ নানান রকম ভাবে জঞ্জালে আচ্ছন্ন করেই ফেলেছে। কিন্তু এবার সেই রকম জঞ্জাল যদি মহাকাশেই ছড়িয়ে পড়ে তাহলে ঠিক কতটা ক্ষতি হতে পারে তা হয়তো আর পাঠক বন্ধুদের আলাদা করে বলে দিতে হবে না।
Read More: Tech News : দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারী ব্যাকআপ উপভোগ করতে চাইলে নিশ্চিন্তে কিনে নিয়ে আসুন এই ল্যাপটপ!