পোষ্য হিসেবে হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল, কুকুর, বিড়াল অথবা কিছু অন্য প্রজাতির প্রাণীকেউ হয়তো আপনারা বাড়িতে রাখতে দেখেছেন। তবে কি কখনো বিষধর সাপ পোষার কথা শুনেছেন। না শুনে থাকলে আজকের এই প্রতিবেদনে অবশ্যই এই বিষয়ে জানতে পারবেন । শিরোনাম দেখে আপনারা ইতিমধ্যেই নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন যে আমরা এক অদ্ভুত গ্রামের সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করাতে চলেছি।আশপাশের গ্রামের মানুষও এই গ্রাম থেকে দূরত্ব বজায় রাখেন। কিন্তু এ গ্রামের মানুষ জন্ম থেকেই সাপ দেখে অভ্যস্ত। কারণ বাড়িতেই পরিবারের একজন হয়ে থাকে সাপেরা। নিশ্চয়ই আপনারা ভাবছেন একেবারে কোন বিষহীন সাপের কথা আমরা বলব!
Read More: রশ্মিকা মান্দানা : জাতিগত গ্ল্যামারের প্রতীক
একদমই নয়, কোবরা থেকে শুরু করে অন্যান্য অনেক বিষধর সাপের কথাই এখানে বলা হচ্ছে। অদ্ভুত এই গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই বিষধরেরা থাকে। গ্রামের বাড়িতেই তারা খাওয়া-দাওয়া করে। এমনকি বাড়ির মালিকেরা সাপেদের প্রয়োজনে আলাদা করে থাকার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা পর্যন্ত তৈরি করে দিয়েছে যাতে তাদের কোন অসুবিধা না হয়। কমবেশি প্রত্যেকটি বাড়িতেই এই গ্রামে এরকম ভাবে সব দেখা যায়। বাড়ির বাচ্চারাও কিন্তু এই সমস্ত বিষধর সাপকে ভয় পায় না বরং সেই বিষধর গুলি তাদের খেলার সঙ্গী।
Read More: পুজোয় সিম্পল থাকতে চান, তাহলে ট্রাই করুন ইশার ক্যাজুয়াল শাড়ি লুকস
অন্যান্য পশু বা পাখির মতোই সাপ যেন তাদের কাছে একটা জীবনের অংশ হিসেবেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। বাচ্চা থেকে বড় কেউই তাই এই সমস্ত বিষধরদের ভয় পায় না। অদ্ভুত এই গ্রামের নাম হলো শেঠপাল, যা মহারাষ্ট্রে অবস্থিত।শেঠপাল গ্রামের মানুষের এই সাপ পোষার প্রাচীন রীতি কিন্তু এই গ্রামকে সারা বিশ্বে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে। সাপের গ্রাম বলে ভারত তো বটেই, এমনকি বিশ্বেও শেঠপাল গ্রামের পরিচিতি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও একটু খোঁজাখুঁজি করলে আপনারা হয়তো এই গ্রামের সম্পর্কে বহু তথ্য পেয়ে যাবেন। ভাবতে পারেন কি যে সমস্ত বিষধর সাপদের সঙ্গে চলাফেরা করতে আমরা ভয় পাই তারাই এই গ্রামের সকলের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী। কেমন লাগলো আজকেরে বিশেষ প্রতিবেদন তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।